চলেছি ছুটে
——————-
আমি ছুটে চলা এক বিরামহীন পথিক
ছুটে চলি অনন্তকাল
গায়ের পথ ধরে শহর বন্দর
দূরদূরান্তর পিচ ঢালা বাঁক।
ছুটে চলেছি মায়ের কোল ছেড়ে
ভূ-মৃত্তিকার বুকে শিশুকাল
শৈশব কৈশোর যৌবন পেরিয়ে
ছুটবো ধরনীর মহাকাল।
কত ঝড় বাদল জলচ্ছাস
কালে কালে করছে আঘাত
তবো থেমে নেই এ পথিক
চলছি ধেয়ে দুর্বার।
শত ভালোবাসা মায়ার বন্ধন
থমকে দেয় জীবন
সংসার চাকায় ঘুরে ঘুরে চলি
সাথে সঙ্গি পরিজন।
কখনোবা হুঁচট খাই
হই রক্তাক্ত আহত
প্ররোচনায় পড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে
সহি বারবার ক্ষত-বিক্ষত।
অচেনা মুখ লোভনীয় সুখ
সময়ের স্রোতে আসে যায়
শত আশ্বাস কত বিশ্বাস করে লুট
পলকেই মিলিয়ে যায়।
হতাশায় মন জল ভরা নয়ন
তবোও থেমে নেই ভূবন
ব্যাথা ভরা পায়ে যেতে হবে বহুদূর
ছুটে চলাইযে জীবন।
চৈত্রের প্রখর রোদে চলছি
ক্লান্তিময় দেহো
পিপাসায় টেনে নেয়
জড়ায় তন্দ্রা আচ্ছন্ন।
অলসতা ঝেড়ে তাকাই আমিতে
বয়স চলছে ছুটে
ঢর ভয় দুঃখ সুখ বহিছে কাঁধে
ঐতো সীমান্ত কাছে।
থামি না আমি থামলেই সমাপ্তি
ক্রিয়া ঢের বাকি
লেন দেনের হিসাব জমেছে অনেক
চুকানোর সময় নাহি।
মাথা ঝুকিয়ে কোমর নুইয়ে
চলি গুটিশুটি হয়ে
কিযে নেশা ছুটে চলার মাঠে
বিদায়ে মন কাঁদে।
ছুটতে ছুটতে একদিন ফুরাবে
জীবনের জৈব কাল
বার্ধক্যের সীমান্তে ঘটিবে মোর
অন্তিম প্রলয়ের কাল।
রতি কাল কলি কাল মধু কাল
ক্ষনিকের কালে চলমান
বিভৎস কাল ব্রত কাল সর্ব কাল
সবি কালে কালে অবসান।
ওরা সরকারি চাকরিজীবী
—————————-
ওরা সরকারি চাকরিজীবী
ওরা সরকারি চাকরিজীবী
নিজের স্বার্থে দেশের মানুষ
করে রাখে জিম্মি।
ওরা সরকারি চাকরিজীবী।
ওদের নাই কোন টেনশন
পায় মোটা বেতন
চাকরি শেষেও আছে এক
অনেক বড় পেনশন।
ওরা লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে
চাকরি যোগার করে
সেই টাকা উসুল করতে
দুর্নীতির পথ ধরে।
ওরা বিয়ে করতে যৌতুক নেয়
দেয় চাকরি পেতে
বউর কথায় উঠে বসে
গোলাম হয়ে থাকে।
দশটা থেকে অফিস শুরু
সাড়ে তিনটাই শেষ
এর ভেতরেও কাজ না করে
সময় চলে বেশ।
ওদের বছর বছর আসে বোনাস
টাকা পয়সার নাই অভাব
দিনে রাতে বদলায় স্বভাব
প্রশ্ন করলে দেয়না জবাব।
ওরা সরকারের তেল গায়ে মেখে
তেল তেলে তৈলাক্ত
ওরা কাজ না করেও বেতন পাওয়ার
নেশায় থাকে আসক্ত।
ওরা ঘাটের মরা বিক্রী করিয়া
কোটি টাকা খায়
ওরা চাকরির জন্য জিম্মি রাখতে
প্রস্তুত বাপ ভাই।
বয়স শেষেও আঁকড়ে রাখে
চেয়ার থাকে ঠিকি
ধরা পড়লেও মিথ্যে অজুহাত
করে শত ফন্দি
ওরা নিজকে বেঁচে দেশে বেঁচে
রাজা হয়ে যায়
তবো টাকা পেলে বিক্রি করে
ঘরের মা বোন ভাই।
ওরা সত্যের শপথ নিয়ে এসে
অসৎ পথে চলে
নিজের চরিত্র বিকিয়ে দিয়ে
পবিত্র বউ খুঁজে।
ওদের জন্য শিক্ষিত বেকার
পায়না খুঁজে চাকরি
ঘুষ খেয়ে কোঠা দেখে
অযোগ্য নেয় প্রার্থী
ওদের জন্যই দেশ পিছিয়ে
সামনে কেমনে নিবি
দেশের সম্পদ নিজের করে
চলছে পথ দিব্যি।
কিছু লোক সৎ বটে
কাজে কর্মে থাকে
তাদের জন্যই দেশটা আজো
নিলাম থেকে বাঁচে।
সৎ লোকের বড্ড অভাব
দেশের সর্বস্তরে
সৎ থাকতেও যুদ্ধ করে
অসৎ লোকের সাথে।
কেউবা হারায় চাকরি কভু
কারো যায় প্রাণ
ভালো মন্দের এই দেশেতে
সত্যের নাহি স্থান।
অসৎ লোকের দাপট বেশি
সাড়া বিশ্বজুড়ে
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে
কৃষক মরে ভাতে।
তবো সরকারি লোক সম্মান করি
হিংসা বিদ্বেষ ভুলে
ওদের হাতেই দেশের ভাগ্য
গিয়েছে দূর্ভাগ্যে।
ওরা সরকারি চাকরিজীবী
ওরা সরকারি চাকরিজীবী।
কবি জাহাঙ্গীর আলম সোহেল প্রবাসী বাংলাদেশী। অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আর সাদা মনের মানুষ সে। সে প্রতিনিয়ত পরোপকার আর দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে ছুটে চলে।