তাহারে বলিবে
নুর আহমদ সিদ্দিকী
তাহারে বলিবে আমি হারিয়া গিয়াছি অচিনপুরে
হৃদয়ের করিডোরে না বাধিতে কোন কালে মোরে
স্মৃতির পাতায় জমিয়া থাকা অস্পষ্ট স্মৃতি গুলো নিয়ে কাঁদিয়া লাভ নেই
আমি অাগের মতই একটুও বদলাইনি অলস যেই সেই।
রাস্তায় হস্ত ধরিয়া পা পা করে হাটিয়া চলা মুহুর্তগুলো বড় কষ্ট দেয়
ঘুমে বিভোর হলে চিৎকারিয়ে বলিয়া উঠিয়াছি তুমি কে??
কেহ যেন আমাকে স্পর্শ করিয়াছে পরম মমতায়
নয়ন জুড়িয়া অশ্রু ঝরিয়া পড়িছে সে কোন মায়ায়।
শেষবার যবে দেখিয়াছি তাহারে ভুলিয়া গিয়াছি জিজ্ঞাসিতে সে কেমন আছে
হাতটি বাড়িয়া বলিবার সময় হইনি গিয়া তাহারই কাছে
চোখ দু’টি তার লাল হইয়াছিল দেখিয়া আমিও কাঁদিয়াছি
এখনো অাবেগাপ্লুত হইয়া নির্জীবতা কে আকড়ে ধরিয়াছি।
তাহারে ভালবাসিয়াছি পাগলের মত করিয়া
অাগলে রাখতে পারি নাই হৃদয়ের গহীনে ভরিয়া
সেদিন অামি দোষ করিয়াছি সেজন রহিয়াছে নিঃদোষ
তাহারে হারিয়ে হৃদয়ে মহা ব্যথা হারিয়াছি যেন হুশ।
২৪/০৯/১৯
বড় সাধ জাগে
নুর আহমদ সিদ্দিকী
বড় সাধ জাগে মোর হস্ত ধরিয়া হাঁটিতে
নির্জনে প্রেয়সীর সনে গল্প মাতিয়া উঠিতে
কিন্তু বিধাতার যে বারণ রহিয়াছে! তা ভুলিয়া গিয়াছি
হরহামেশা তোমারি প্রেমে পড়িয়া রহিয়াছি।
আমি যে তোমারে এতটা বাসিয়াছি ভাল তুমি কি জানিয়াছ?
না জানিলেও তুমি মোর হৃদয়ে রহিয়াছ
এই যেন লুকোচুরি প্রেম যা অব্যক্ত রহিয়াছে
হৃদয়ের সব বিশ্বাস আশা ভরসা তোমার হৃদয়ের সনে মিশিয়াছে।
কিন্তু আমি কত বড় অানাড়ি তোমারে বলিবার পারি নাই
হৃদয় বারংবার তোমারি সংস্পর্শ চাই
হৃদয়ের ব্যাকুলতা অব্যক্ত কথামালা হু হু করে কেঁদে যায়
এই যেন সবি ছাড়িয়া পড়িয়া রহিয়াছে তোমারি মায়ায়।
হ্যা, সেদিন তোমারে কাছে ডাকিয়া লইব
যবে মোরে বিবাহের ডোরে বাধিবে সেদিন তোমারি হইব
অপেক্ষা বেশ কষ্ট!! আর ক’টা দিন সবর করিয়া থাক
সে ক’দিন হৃদয়ের মণিকোঠায় মোর ছবি আঁক।
২৮/০৯/১৯
মুজিবকে পড়ে মনে
নুর আহমদ সিদ্দিকী
জ্বালাময়ী সেই ভাষণ শুনে
বাঙ্গালী যবে জাগে
হুংকার শুনে পালিয়ে বাঁচে
শেখ মুজিবের ডাকে
রেসকোর্স কাঁপে মুজিবের ডাকে
শ্লোগানে কাঁপে দেশ
তামাম বিশ্ব অবাক হয়ে
বলছে মুজিব বেশ।
জেল জুলুম নির্যাতনে
ডরেনি মোদের নেতা
দেশের টানে জীবন দিল
বিশ্ব দেখেছে সেথা
পাক বাহিনীর অত্যাচারে
ইজ্জত গেল মায়ের
রাস্তার পাশে রক্তাক্ত
লাশটি আমার ভাইয়ের।
একাত্তরের সাত মার্চে
শেখ মুজিবের ডাকে
দেশের মানুষ স্বাধীনতার
স্বপ্ন বুকে আঁকে
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
বিপ্লবী মুজিবের
সাহস দিয়েছে মুজিব সেদিন
বীর বাঙ্গালীদের।
উনিশ বিশে জন্ম যার
পঁচাত্তরেই ইতি
আমরা কভু ভুলবনা
সেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি
ভাষণে যার অগ্নি ঝরেছে
গর্জে উঠেছে দেশ
এক মুজিবের হুংকারে সেদিন
জুলুম হয়েছে শেষ।
কবিতার মাঝে মুজিব আসে
ইতিহাসে আসে বীর
জালিমের ভয়ে করেনি নত
মুজিবের উঁচু শীর
মুজিবের ডাকে জেগেছে দামাল
লড়েছে মৃত্যু সনে
আজিকে আবার বিপ্লবী নেতা
মুজিবকে পড়ে মনে।
কবি পরিচিতি:
নুর আহমদ সিদ্দিকী ১৯৯৫ সালে ১৫ এপ্রিল চট্টগ্রামের অন্তর্গত বাঁশখালী উপজেলার ১ নং পুকুরিয়া ইউনিয়নের নতুন পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকে কবিতা লেখালেখি অভ্যাস ছিল। তাঁর প্রকাশিত যৌথ কাব্য গ্রন্থগুলো নীলাঞ্জনার কাব্যকথন, অনুভূতির অক্ষরগুলো, কারিগর, আমি কবি নই শব্দ শ্রমিক। একক গ্রন্থ – স্বপ্নতরী ( ছোট গল্প), জিরো থেকে থেকে হিরো (কবিতা)। তিনি চট্টগ্রাম রাহাত্তারপুল এফ এ এম একাডেমির শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তিনি একাধারে কবি, গল্পকার, কলামিষ্ট এবং শিক্ষক।
তার দুর্দান্ত লেখনীর শক্তি। ক্রমশই আভা ছড়াচ্ছে চারিদিকে। তার কোমল হাতের শক্ত লেখার বান ক্ষত বিক্ষত করছে ইসলামের শত্রুদের। তার লেখায় রয়েছে মুসলিমদের শুভ বার্তা ও সামনে আগাবার অসীম তেজ। তার উদ্দীপনায় তার চলার পথ অনুসরণ করছে আজ বহুমানুষ।