যখন আমি থাকবো না
লুৎফা আনোয়ার
———————————
ভালবাসি বলে তোমায়,
আঘাত দিলে তুমি আমায় ।
যখন আমি স্বপ্নে বিভোর,
তুমি তখন নিলে না খবর ।
তুমি কেন এতো পাষন্ড,
দেখে অবাক বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ড ।
আমি তোমার ঘৃণার আধার,
আজও তুমি শুধুই আমার ।
তুমি আমার সুখের ঠিকানা,
তাই তো আমায় আজও চিনলে না ।
কেন তুমি করলে এমন আঘাত ?
ফিরিয়ে নিলে ভালবাসার দু’হাত ।
যখন আমি হবো দূরের ঐ নক্ষত্র,
কাটবে কি করে তোমার রাত্র ?
যখন মেঘের সাথে বলবো আমি কথা,
তখন তোমায় ঘিরে থাকবে কোন শূন্যতা ।
ভালবাসবে আমায়–ঐ নীল আকাশ,
তোমার ভাবনার থাকবে না অবকাশ ।
বুঝবে সেদিন তুমি বুঝবে,
তখনও আমায় পাশে পাবে ।
দেখবো তোমায় পাথর চোখে,
থাকবো আমি চিরসুখে ।
তুমি থেকো চির অম্লান,
ঘটবে তখন বিরহের অবসান ।।
শেষ বিশ্বাস
লুৎফা আনোয়ার
————————————————
ভ্রুক্ষেপহীনভাবে চলছিলো জীবনটা ।
অকস্মাৎ থমকে গেলো,,,,,,
প্রবাহিত নদীর যেমন ভগ্নদশা অবস্হা,
জীবনেরও ঠিক তেমনি অবস্হা ।
নানান ঘাত-প্রতিঘাত, প্রতিকূলতা পেড়িয়ে
যেন এক অনিশ্চিতের দাঁড়-গোড়ায় এসে পৌঁছেছি ।
অবশ-বিবশ জীবনটা যেন এলিয়ে গেছে ।
স্হায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী—–
কোথাও যেন একটু ছন্দশব্দ নেই ।
অনাহুত অলসতা যেন সবটা গ্রাস করে ফেলেছে ।
তবুও বেঁচে থাকতে হচ্ছে পুনর্বার ।
মনকে কেউ যেন কষাঘাত করছে,
তবু সং সেজে বাঁচতে হচ্ছে ।
উপেক্ষা আর তাচ্ছিল্য— আর যেন মানা যায় না ।
অনাকাঙ্ক্ষিত জীবনাবসান খুব দরকার ।
তুমি ভালো থেকো, সুখে থেকো,
—-এই কামনা আমার—–
ক্লান্ত নিঃসাড় দেহখানি আমার—–
একটু সময় হলেও আগলে রেখো ।
অন্তিম স্পর্শটুকু তুমি আমায় দিও ।
অন্তর্লোকের সব দুঃখ-কষ্টকে দূরে রেখে,
স্বস্তির শেষ নিঃশ্বাসটুকু নিতে চাই—-
এই বিশ্বাসটুকু—-
তুমি–আমায়–দিও ।।
বড্ড ভালবাসি
লুৎফা আনোয়ার
——————————-
তোমাকে ভালবেসেছি আমি প্রবহমান নদীর মতো,,,,,,,
ভালবেসেছি– আকাশের বিশালতার মতো,,,,,,,,
হৃদয়ের সবটুকু প্রেম, এ যেন শুধুই তোমাকে ঘিরে ।।
তুমি হীনা আজ আমি শূন্য মরুভূমি ;
তবু তুমি রয়েছো—–
আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে,,,,,,শুধু আমারই হয়ে ।।
বেদনার অথৈ লোনাজলে যখন আমি বিদীর্ণ
তখন তুমি নানান রঙের ফুল হয়ে বাগানে হাসো
তোমার মিষ্টি হাসিতে আমি ভুলে যাই আমার সমস্ত কষ্টগুলো ।।
এক মুহূর্তের জন্য একটি সিংহাসন তৈরী করে
যেখানটাতে তোমাকে বসিয়ে,,,, তোমার হাত দু’টো আলতো ছুঁয়ে বলে ফেলি—-আমার না বলা সব কথাগুলো ।
আরও বলি—–
আজকের এই দিনে তুমি যেমনি করে এসেছিলে
ঠিক তেমনি করেই থেকো বাকিটা জীবন
আর কখনও চলে যেও না আমাকে একা ফেলে
আমি যে তোমায় বড্ড ভালবাসি গো ।।
ভালবাসতে দিলে না আমায়
লুৎফা আনোয়ার
—————————————-
ভালবাসাই যদি সৃষ্টি করলে ;
তবে কেন ভালবাসতে দিলে না আমায় ?
অসহ্য যন্ত্রণায় তিলে তিলে শেষ করে দিলে,,,,,,
একবারও বুঝতে চাইলে না—
কতটুকু ভালবাসা জমা আছে এই বুকে ।
ভালবাসাহীন এই আমি—-
ভেবো না যন্ত্রণায় মরে যাবো ।
বেঁচে থাকবো,,,,,,,,
তবে, অদ্ভুত এক কষ্ট নিয়ে ।
স্বার্থপর এই পৃথিবীতে—-
যতদিন বাঁচবো,,,,,,,
নিঃস্বার্থ ভাবেই ভালোবেসে যাবো ;
প্রতিদানে বলবো না ভালবাসা দাও ।
বেদনার বিষন্নতায় যখন কেটে যাবে প্রতিটা মুহূর্ত ।
একলা আমি– জেনে যাবো,,,,,,,
হয়তো তোমায় ভালবাসতেই পারিনি ।
নয়তো তোমার ভালবাসা পাবার
কোন যোগ্যতা বা অধিকার
কোনটাই আমার নেই ।।
কবি একাধারে সুকণ্ঠি গায়িকা, আবৃত্তি শিল্পী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক জোট (আসাজো) এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সখিপুর উপজেলার নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি প্রেমময় কাব্য লিখে তোলপার তোলেন অবিরত। তার লেখা কবিতা থেকেই ৪ টি কবিতা আজকে প্রকাশিত হল। সাদা মনের মানুষ, সদা হাস্যজ্বল লুৎফা আনোয়ার দল-মত ব্যতিরেখে সকলের নিকট সমান শ্রদ্ধার পাত্র। তার কলমের কালিতে সমাজের সকল অনাচার উঠে আসুক নির্ভয়ে।